অপরাজিতা। সংগ্রামী নারীদের এক আদর্শ প্রতিকৃতি। সমাজ-সংসারের সংগ্রামী নারী অপরাজিতা তাই এখন টিভি দর্শকদের কাছে অতি পরিচিত। অপরাজিতা একটি চরিত্র। অপরাজিতা একটি প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটকের নাম। দীপ্ত টেলিভিশনে প্রচার সমাপ্ত হওয়া ‘অপরাজিতা’ ডেইলী সোপের নাম ভূমিকায় চরিত্রানুগ অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে নাইরুজ সিফাত নামটিকে ছাপিয়ে তার পরিচিতি হয়ে ওঠেছে অপরাজিতা নামে। প্রিয় পাঠক, বলছিলাম ‘অপরাজিতা’ চরিত্রের অভিনয় শিল্পী নাইরুজ সিফাতের কথা। সুন্দরী এই অভিনয় তারকা অপরাজিতা হয়ে ওঠার গল্প বলতে সম্প্রতি এসেছিলেন ছায়াছন্দ কার্যালয়ে। তার অপরাজিতা হওয়ার কথা জানাচ্ছেন আদিত্য অর্ণব।
শুরুতেই নাইরুজ সিফাতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার শোবিজ কর্মকান্ডের সূচনা প্রসঙ্গে। হাসি-খুশি এই মেয়েটি জানালেন, ২০১১/১২ সালের দিকে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানী রবি’র বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করার মধ্য দিয়ে মডেল হিসেবে তার শোবিজে আত্মপ্রকাশ। এর পরের কাজগুলোও তার মডেল হিসেবেই। পোলার আইসক্রীম, প্রাণ টমেটো সস, প্রাণ জগ, রাধুনী ইস্পাহানী চা, মেন্টস কোলা ইত্যাদি বিজ্ঞাপনচিত্রে নাইরুজ সিফাতের সরব উপস্থিতি দর্শকদের মাঝে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-প্রশংসা হয়। তিনি বলেন, তখন আমি কলেজের ছাত্রী। বিজ্ঞাপনচিত্রগুলোতে কাজের সুবাদে মিডিয়ার প্রতি একটা টান অনুভব করি। সেই টান থেকেই ২০১৪ সালে ‘অপরাজিতা’ ডেইলী সোপের অপরাজিতা চরিত্রের জন্যে অডিশন দেই দীপ্ত টিভিতে। নাইরুজ সিফাত জানান, অপরাজিতা হওয়ার জন্যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরও ৫৭ জন মেয়ে। শেষমেষ চূড়ান্ত নির্বাচিত হন তিনি। মজার বিষয় হলো ‘অপরাজিতা’ নাটকের যথার্থ অপরাজিতা হওয়ার জন্যে নাইরুজ সিফাতকে ১২ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপরাজিতা’ হওয়ার জন্যে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পারিবারিক উৎসাহ অনুপ্রেরণাও পেয়েছি। আমাদের নাটকটির ক্রিয়েটিভ হেড ছিলেন কলকাতার। উনার নেতৃত্বে আমাদের অভিনয়, পোশাক, কণ্ঠ নিয়ে গ্রূমিং হয়েছে। আমি মনে করি এই প্রক্রিয়াটা নতুন শিল্পী তৈরি করার জন্যে খুবই সহায়ক।
নাইরুজ সিফাতের বাবা একে এম নূরুল আলম তালুকদার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের এ গ্রেডের একজন অভিনয় শিল্পী নির্বাচিত হন। যাই হোক, অভিনয়ের ক্ষেত্রে নাইরুজ সিফাত বাবা সহ পুরো পরিবারের সমর্থন পান। বর্তমানে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘চিরকুমারী ক্লাব’, একুশে টেলিভিশনে প্রচার চলছে। খুব শিঘ্রি চ্যানেল আইতে প্রচার শুরু হবে ‘মায়া মসনদ’ নামের একটি সিরিয়াল। ঈদে প্রচার হবে তার অভিনীত ‘পাঁচ শালী’ ও ‘মাসাল্লাহ’ নাটকগুলো। ছায়াছন্দকে নিজের পরবর্তী টার্গেট সম্পর্কে এই আগুয়ান অভিনয় তারকা বলেন, আমার নেক্সট টার্গেট হলো চলচ্চিত্র। বিনোদনের এই বৃহৎ মাধ্যমে কাজ করার লক্ষ্যে আমি নাচ-ফাইট শিখছি। নিয়মিত জিম করছি। অভিনয়কে আরও ভালো করে রপ্ত করছি। মোট কথা চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিজেকে প্রোপারলি গড়ে তুলছি। মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র কিম্বা বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র যেকোন ধাঁচের চলচ্চিত্রেই অভিনয়ের জন্যে আমি এখন প্রস্তুত।
আপনার মন্তব্য দিন