ছায়াছন্দ ডেস্ক : সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এয়ারপোর্টে এক উদ্ভট কান্ড করে বসলেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। সেখানে অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে এক নারী ভক্তকে জাপটে ধরেছেন এই বিতর্কিত অভিনেতা। করোনার এই সময়ে কোন ধরণের সামাজিক দূরত্বই মানেননি তিনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটিতে নামার পর টার্মিনালের বাইরে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন জনি। সেখানে হঠাৎ সেই নারী ভক্তকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরেন তিনি। আরও বেশ কজন ভক্ত ছবি তোলার অপেক্ষায় থাকলেও ঘনিষ্ঠ হয়ে জনি দাঁড়িয়েছিলেন ওই নারীর পাশেই। শুধু তাই নয়, দেশটির সরকার নিয়ম করেছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাই ১ দশমিক ৫ মিটার দূরত্বে অবস্থান করবে। কোনো কারণে দূরত্ব রাখতে না পারলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অথচ জনির মুখে কোনো মাস্ক দেখা যায়নি। একপর্যায়ে অবশ্য তিনি একটি মাস্ক মুখের ওপর ধরেছিলেন। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে সিগারেট জ্বালাতে দেখা গেছে। এক ভক্তের বাড়িয়ে দেওয়া নিজের ছবির ওপর অটোগ্রাফ দেন জনি, কিন্তু তাঁর ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন এই তারকা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জনি ডেপ বিয়ে করেন অপর অভিনেত্রী আম্বার হার্ডকে।কিন্তু বিয়ের পরের বছরই শুরু হয় তাঁদের গৃহবিবাদ। আম্বারের দাবি, ২০১৬ সালের ২১ মে তাঁকে বেদম পিটিয়ে মুখে মুঠোফোন ছুড়ে মেরেছিলেন জনি ডেপ।নির্যাতনের মামলা ঠুকে ১৫ মাসের সংসারের ইতি চান অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী আম্বার হার্ডের নির্যাতনের মামলায় প্রায় তছনছ হয়ে গেছে জনির জীবন। পরে এক লিখিত বক্তব্যে সাবেক প্রেমিক ও স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে সংসারজীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আম্বার। ৩২ বছর বয়সী এই তারকা অভিনেত্রী আদালতে মানহানির মামলা ঠুকে দেন ও ৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চান ক্যারিবিয়ান দ্বীপের সেই জলদস্যু ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো ওরফে জনির কাছে। বলে রাখা ভালো, ৫০ মিলিয়ন ডলার মানে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, ৪৫০ কোটি! মামলা জিতে সেই টাকা আদায়ের জন্যই এই লিখিত বিবৃতির সূত্রপাত। জনি ডেপ নাকি তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম নির্যাতন করতেন সেটা উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, এ বছর নতুন ছবি ‘ক্রক অব গোল্ড’–এ দেখা যাবে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ তারকা জনি ডেপকে।
আপনার মন্তব্য দিন