অপর্ণা খান : ফেসবুক অনলাইন লাইভে এখন এপার বাংলা, ওপার বাংলার প্রথম সারি থেকে শুরু করে নতুনদের অনেকেই গান গাইছেন। আবৃত্তিও করছেন কেউ কেউ। অনেকেই নিজের পেজে গান গাইছেন। এই লকডাউন সময়ে মানুষ এক অস্হির সময় কাটাচ্ছে। জীবন – জীবিকা, অর্থনীতি সব কিছুই অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিত জীবনে কিছুটা স্বস্তি পেতেই হয়তো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের এই প্রচেষ্টা। অথবা একে বলা যেতে পারে নিজের ভালো লাগার জন্য কিছুটা সময় কাটানো। আর যারা এই প্রোগ্রামগুলো দেখেন, তারাও হয়তো কিছুটা ভালো সময় কাটান। কারো কারো কাছে হয়তো এটা চরম বিরক্তিকর লাগতেই পারে। সেটা হতেই পারে। সবার সব কিছু ভালো লাগবে – এমন কোন কথা নেই। যারা এই সব অনুষ্ঠান ভালো লাগে না বলে বিবৃতি দেন, সমালোচনা করেন তারা তো নির্বিঘ্নে নীরবে ওই সব বন্ধুকে ছাটাই করে বন্ধু তালিকা ঝকঝকে করতে পারেন।
এই সব প্রোগ্রামে যারা অংশ নিচ্ছেন বা করছেন, তারা কোনো কমার্শিয়াল টেলিভিশন চ্যানেলে গাইছেন না। নিজ নিজ পেইজে এবং কারো আমন্ত্রণে যুক্ত হচ্ছেন। আপনার ভালো লাগছে না আপনি কেটে পড়েন। আপনারে আটকাচ্ছে কে ???আর সেটাও না পারলে পঁচা ডিম মাইরা মনে শান্তি আনেন। আপনারে কেউ কিছুতেই আটকাবে না। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা – কমার্শিয়াল চ্যানেলগুলো যখন প্রতিনিয়ত মানহীন অনুষ্ঠান প্রচার করে, তখন আপনারা একটু সোচ্চার হোন না কেন ? প্লিজ আপনারা একটু সোচ্চার হবেন।
যার যার ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে গান বা আবৃত্তি করাটা কিন্তু জমি দখল করে কিছু করা না। যার যার ভালো লাগা সে প্রকাশ করছে। এত বোদ্ধা শ্রোতাদের কাছে যারা বিরক্তির কারণ এই অনলাইন লাইভ, এরাই আবার তাদের প্রিয় ওই সব শিল্পীদের সরাসরি স্টেজ প্রোগ্রামে গিয়ে বেতালা – বেসুরা গান শোনেও আহা উহু করেন। তাহলে ফেসবুক লাইভ নিয়ে তাদের এত টেনশন কেন ?? এটা তো স্ববিরোধিতা। এটার মূল কারন হলো – তারা নিজেরা এটা করতে পারছেন না বলেই তাদের এমন গাত্র জ্বালা।
লেখক : সংগীতশিল্পী ও সৌখিন লেখক
আপনার মন্তব্য দিন