
কাজ শেষ করে তিনি ফিরছেন এমন সময় জঙ্গী আসলামের অন্য সদস্যরা মিতার উপস্থিতি ও রনির আত্মসমর্পন করার খবর টের পায়। মিতাকে ধরে তার সবকিছু কেড়ে নিতে চেষ্টা করে। জীবনের চেয়ে তথ্য বড় তাই মিতা ঝাপিয়ে পড়ে পাহাড়ি নদীতে। স্রোতে মিতা নিজেকে সামলাতে পারেনি। হারিয়ে গেছে তার মোবাইল সেট। একরাশ হতাশা নিয়ে রাতের অন্ধকারে সে হাতরে হাতরে অজানা পথে এগিয়ে যায়। এখান থেকেই নাটকের শুরু। মিতা নিঃশব্দে গিয়ে দাঁড়ায় কুটিরের কাছে। কাঠের জানালায় চোখ রাখে, মিতা দেখতে পায় বঙ্গবন্ধুর ছবি। এই ছবি মিতাকে বিপদমুক্ত হবার সংকেত দেয়। মিতার আশঙ্কা দূর হয়। সে ভুল জায়গায় আসেনি বরং বিপদ তাকে হয়ত নতুন কোন তথ্য দিবে। আশায় বুক বেঁধে মিতা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ডাক দেয়।
ভেতর থেকে দেবদাস সাহা দরজা খুলে দেয়। মিতা মুহুর্তের মধ্যে দেবদাসের সাথে মিশে যান। তার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের কাছে বিপদের কিছু নেই বরং তাদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ।
দেবদাসের জীবনযাপনের নানা তথ্য যোগাড় করা শুরু করে মিতা। মিতার সাথে গল্পেগল্পে রাত কেটে যায় দেবদাসের, মিতা জানে তার অজানা বঙ্গবন্ধুর জীবনকাহিনীর অনেক তথ্য। ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক, অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর চরিত্র। দেবদাস ভোরে মিতাকে বিদায় জানায় ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে। মিতা কিন্তু খালি হাতে ফিরল না, চমক নিয়েই ফিরল। সেই চমক জানতে দেখতে হবে নাটক ‘দিন চিরদিন’।
আপনার মন্তব্য দিন