ছায়াছন্দ প্রতিবেদক : এবার নতুন পরিচয়ে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী – নির্মাতা আফসানা মিমিকে। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। জানা গেছে, আগামী তিন বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গেলো ১১ই নভেম্বর চুক্তির কাজটি সম্পন্ন হয় বলে জানান আফসানা মিমি নিজেই। এই প্রসঙ্গে মিমি বলেন, আমি নাটকে অভিনয় এবং নাটক পরিচালনা আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দিলাম। আমার সব ভাবনা জুড়ে কেবলই নাটকের উন্নয়ন। কাজেই এই নিয়োগে সরকারের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। নতুন কাজের ক্ষেত্রে এটা অনেক বড় দায়িত্ব আমার জন্যে। মিমি আরও বলেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা থাকবে আমার। এক্ষেত্রে আমি সবার সহযোগিতা চাই।
জানা গেছে, মিমির সঙ্গে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দা মাহবুবা করিমকেও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
জানা যায়, গেলো কয়েক বছর ধরে মিমি অভিনয়ের চাইতে পরিচালনাতেই বেশি মনোযোগী। ‘বন্ধন’ ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ ও ‘সাতটি তারার তিমির’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটক নির্মাণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন পর এই অভিনেত্রী নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করছেন। কথাশিল্পী শওকত আলীর উপন্যাস ‘দক্ষিণায়নের দিন’ অবলম্বনে এই নাটকের নাম রাখা হয়েছে ‘সায়ংকাল’। নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
জানা যায়, দেশে করোনার প্রকোপের আগে ‘রুম নাম্বার ফোর জিরো ফোর’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিও নির্মাণ করেন এই অভিনেত্রী। মুক্তির অপেক্ষায় আছে মিমি অভিনীত ‘পাপ পুণ্য’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। মিমি জানান, প্রায় ১০ বছর পর তিনি এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি নির্মাণ করেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। এই ছবিটি প্রসঙ্গে মিমি বলেন, অনেক বছর পর চলচ্চিত্রে কাজ করলাম। ছবিটির সব কাজ শেষ, এখন মুক্তির অপেক্ষায়। দারুণ একটি কাজ হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না। শুধু এটুকু বলতে পারি, এ ধরনের চরিত্রে দর্শক আমাকে আগে কখনই দেখেনি। একেবারে জীবনের কাছাকাছি একটি গল্প।
মিমি জানান, শোবিজ জগতে পথচলার ৩০ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করেছেন তিনি। অভিনয়ে তার অভিষেক হয়েছিল মঞ্চের মাধ্যমে। ১৯৮৬ সালে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে প্রথম মঞ্চে ওঠেন মিমি। তখন তিনি অভিনয় করেন মনোজ মিত্রের ‘রাজদর্শন’ নাটকের রানী চরিত্রে। টেলিভিশনের পর্দায় আফসানা মিমির মিষ্টিমুখ প্রথম দেখা যায় বিজ্ঞাপনচিত্রে। হুমায়ূন আহমেদ রচিত কালজয়ী নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ দিয়ে পরিচিতি লাভ করেন মিমি।
আপনার মন্তব্য দিন