তুষার আদিত্য : করোনাকালের সবচেয়ে সমালোচিত তরুণ সংগীতশিল্পী নোবেল প্রমাণ করলেন কপি গান গাওয়া ছাড়া তার মধ্যে নিজস্ব গায়কী সত্ত্বা নেই। তার গাওয়া নতুন গান “তামাশা” নিয়ে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক তামাশা। তেমনি তাকে নিয়ে নতুন বিতর্কও তৈরি হয়ে গেছে। নিজের গানের লঞ্চিংয়ে স্ত্রী সালসাবিলকে চুমু খাওয়া ভিডিও পোস্ট করে নোবেল এখন চরমভাবে বিতর্কিত একটি নাম। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক উদ্ভট মন্তব্য করে তিনি সমালোচিত হয়ে চলেছেন।
মূলত কলকাতার একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের রিয়েলিটি শোতে জেমস, আইয়ুব বাচ্চুর শ্রোতাপ্রিয় গান গেয়ে নোবেল নজরে আসেন টেলিভিশন দর্শকদের। পরবর্তীতে তার নিজের গাওয়া কোনো গান এখনও শ্রোতাপ্রিয় হয়নি। যদিও নিজের মৌলিক গান প্রকাশের আগে নোবেল শ্রোতার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিতর্ক তৈরি করেছেন – এমন অভিযোগ অনেকেরই। নিজেকে সস্তা আলোচনায় আনতেই তিনি সম্প্রতি দেশের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পীদের নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অবশ্য এই জন্যে তাকে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে।
অন্যদিকে, কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও নোবেল বাজে মন্তব্য করেছিলেন। এই কারণে ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন – নোবেলের সাম্প্রতিক নেতিবাচক এসব মন্তব্য ছিলো তার গাওয়া নতুন গান “তামাশা”র সস্তা প্রচারণার কৌশল মাত্র।
কিন্তু এত শবেও শেষ রক্ষা হয়নি নোবেলের। তার তামাশা গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো তাকে নিয়েই এখন নেটিজেনরা তামাশা করছেন। গেলো কয়েকদিনে ধরে নোবেল চরম ট্রল এর শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, গেলো রোববার ‘তামাশা’ গানটি ইউটিউবে প্রকাশ করেন নোবেল। সঙ্গে ছিল গানটির ভিডিও। এর ওপর বোনাস হিসেবে প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর সঙ্গে লিপকিসের ভিডিও। কিন্তু এতে শ্রোতা – দর্শকের ভালোবাসার বদলে নোবেলের ভাগ্যে জুটেছে ‘ডিসলাইক’। গানটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর গানটির পাঁচ লাখের মতো ভিউ হয়েছে। তখন পর্যন্ত এটির লাইকসংখ্যা ১৬ হাজার। আর ডিসলাইক ৭৪ হাজারেরও বেশি! এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গানটি নিয়ে অনেকে ব্যাপক তামাশা – মজার জন্যে ট্রল করছেন।
নোবেল তার “তামাশা” গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল করেছেন তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলকে। গানের কথা ও সুর করেছেন কৌশিক জিহান। এটির আয়োজন টিম নোবেল। আর মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেন নাজমূল হাসান। তবে নোবেলের সব চেষ্টায় ব্যর্থ হলো গানটি জনপ্রিয়তা না পাওয়ায়।
নোবেল নিজেই প্রমাণ করলেন – অন্যের গান গেয়ে ভাইরাল হয়ে সস্তা পরিচিতি পাওয়া যায়, কিন্তু সেটা জনপ্রিয়তা কিম্বা তারকাখ্যাতি নয়। স্বকীয় গায়কী না থাকলে গানের জগতে জনপ্রিয়তা পাওয়া এবং টিকে থাকা অনেক কঠিন। তাই সঙ্গীত বোদ্ধারা মনে করছেন – মুখে লাগাম লাগিয়ে নোবেলের উচিৎ হবে নিজের মেধা এবং গায়কীর উৎকর্ষ ঘটিয়ে একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে টিকে থাকা। নইলে সময়ের স্রোতে নোলক বাবুদের মতো অবস্থা হবে তার।
আপনার মন্তব্য দিন