ছায়াছন্দ প্রতিবেদক : ছোট পর্দার পরিচিত মডেল ও অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ। নিজের রূপ – সৌন্দর্যের গুণে খুব অল্প সময়েই শোবিজ অঙ্গনে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। অভিনয়ের ষোলো কলা রপ্ত করে তিনি প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছেন। যদিও বিয়ে – সন্তান এসবের কারণে মাঝখানে মিডিয়া থেকে দূরে ছিলেন নোভা। তবে আবার পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় আট বছর পর আবারও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন নোভা। আগামী মাস থেকে শুটিং শুরু হচ্ছে আরটিভির ‘গোলমাল’ শিরোনামের প্রতিদিনের এই ধারাবাহিকের। এর প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে তাকে – এমনটাই জানিয়েছেন সিরিয়ালটির নির্মাতা কায়সার আহমেদ।
লম্বা একটা সময় পর সিরিয়ালে অভিনয় প্রসঙ্গে নোভা বলেন, অনেকদিন পর আবারও ধারাবাহিকে অভিনয় করতে যাচ্ছি। তাই ভালো কিছু দিয়ে যাত্রা হোক – এটা চেয়েছি। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাই না। বলতে পারেন, আমার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য চমক কিছু থাকছে।
নোভাকে এর আগে দেখা গেছে আফসানা মিমির জনপ্রিয় ‘ডলস হাউজ’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক ও খন্ড নাটকে। এছাড়া তার অভিনীত ‘মহানগর’ ও ‘আড্ডা’ শিরোনামের ধারাবাহিকও প্রশংসিত হয়েছিল।
এদিকে লকডাউনের পর পরই এই অভিনেত্রী ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। বাবা দিবসের জন্য রনি ভৌমিকের পরিচালনায় একটি ওভিসির কাজ করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে নোভা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজটি করেছি। আমাদের জীবন নির্বাহ কাজের ওপর ডিপেন্ড করে। তাই সব সময় ঘরে থাকা যায় না। তবে সতর্কতা অবলম্বন করেই সবার কাজ করা উচিত।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের কয়েকটি ওয়েব সিরিজের আপত্তিকর দৃশ্য ও সংলাপ নিয়ে বেশ আলোচনা – সমালোচনায় চলছে। এই বিষয় নিয়ে নোভার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়েব সিরিজ টিভি চ্যানেলের জন্য নির্মাণ হয় না। এটি ডিজিটাল প্লাটফর্মে দেখতে হয়। ডিজিটাল প্লাটফর্ম এখন বিশ্বময়। আমি মনে করি, ওয়েব সিরিজ দেখার সময় আন্তর্জাতিক বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। আমিও এর মধ্যে একটি সিরিজ দেখেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটি।
তার কথার প্রসঙ্গ ধরেই তার কাছে প্রশ্ন ছিল – এই ধরনের ওয়েব সিরিজে কাজ করতে কি তিনি আগ্রহী ? উত্তরে নোভা বলেন, আমি আগে দেখবো আমার চরিত্রটির দৃশ্যগুলো গল্পের প্রয়োজনে নাকি কেবল দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য। পরিচালকের সঙ্গে চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা করবো। গল্পের প্রয়োজনে হলে আমার আপত্তি নেই।’
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় সবাইকে ঘরে থাকতে হচ্ছে। কাজের বাইরে এই সময়টা কীভাবে কাটছে – জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসায় রান্নাবান্না করছি। একই সঙ্গে ছেলেকে সময় দিচ্ছি। এই সময়ে আমার একটা বিষয় উপলব্ধি হয়েছে। সেটি হলো – আমরা নিজেদের বুঝতে শিখছি। আমরা সবাই একটা দৌড় প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলাম। কেন আর কিসের জন্য প্রতিযোগিতা সেটি বোঝার সময় ছিলো না। আমাদের উচিত কাছের মানুষদের সময় দেওয়া। একইসাথে নিজের প্রতিও যত্নশীল হতে হবে।
আপনার মন্তব্য দিন