ছায়াছন্দ প্রতিবেদক : কলকাতার একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন বাংলাদেশী গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল। দুই বাংলার দর্শকরাই তার কণ্ঠে গাওয়া জেমস আর আইয়ুব বাচ্চুর গানে মুগ্ধ। সেই থেকেই নোবেলকে নিয়ে আলোচনা।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের করা অনেক মন্তব্য এবং ফেসবুক পোস্ট নিয়ে এই গায়ক বেশ সমালোচিত। তার কথাবার্তায় রীতিমতো অহংকার প্রকাশ পাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে।
১৯ মে ( মঙ্গলবার ) দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়ে একটি অপমানজনক মন্তব্য করেছেন নোবেল। তার দাবি – গেলো দশ বছরে এই দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়া হতেই পারেনি। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে নোবেল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে তো গত ১০ বছরে ভালো করে কেউ মিউজিকই করেনি। দাঁড়াও তোমার লেজেন্ডদের না হয় আমিই শিখাবো, কিভাবে ২০২০ সালে মিউজিক করতে হয়।’
নোবেলের এই কথার নেপথ্য অর্থ হলো – এতদিন যারা সংগীত জগতে কাজ করে গেছেন, আলোচিত হয়েছেন কিংবদন্তিতুল্য হয়েছেন তাদের ২০২০ সালে কীভাবে মিউজিক করতে হয় সেটাই শেখাবেন। নোবেলের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবে দেশের সঙ্গীতপ্রেমী অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
নোবেল ওই পোস্টে নিজের যোগ্যতার মানদণ্ড উল্লেখ করে লিখেন, ‘দু- বছর আগে জন্ম নিয়েছি আপনাদের ভালবাসা নিয়ে। দু – বছরে ফ্লপ/হিট গানের সংখ্যা দুই। তোমার মনের ভেতর – অনুপম রায় (National Award winner), আগুনপাখি – শান্তনু মৈত্র (National Award winner)’
নোবেল আরও লিখেছেন, তোমাদের লেজেন্ড গত দশ বছর ধরে কয়টা ফ্লপ অথবা হিট রিলিজ করেছে কমেন্টস্ সেকশানে জানাও। থুক্কু বাংলাদেশে তো গত ১০ বছরে ভালো করে কেউ মিউজিকই করেনি। দাঁড়াও তোমার লেজেন্ডদের না হয় আমিই শিখাবো, কিভাবে ২০২০ সালে মিউজিক করতে হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও নোবেল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। ইতিপূর্বে তাকে নিয়ে মেয়েঘটিত সমস্যা নিয়েও কম পানি ঘোলা করেননি নোবেল।
আপনার মন্তব্য দিন