ছায়াছন্দ প্রতিবেদক : তুহিন হোসেন বর্তমান সময়ের একজন অন্যতম প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার। তিনি তাঁর দীর্ঘ বিশ বছরের ক্যারিয়ারে সফল হয়েছেন তার কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে। দেশের শোবিজে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফিতে তার সুনাম রয়েছে। ১৯৯৮ সনে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক ২০০০’ ও পাক্ষিক ‘আনন্দধারার’ স্টাফ ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০২ হতে চিফ ফটোগ্রাফার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়া ডেইলি স্টার পত্রিকার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘স্টার শোবিজ’ এবং পাক্ষিক ‘বিনোদন’ ম্যাগাজিনে অনেক সেলিব্রিটির কাভার ফটোশুট করেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর তোলা ছবি দিয়ে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তিনশত এর বেশি কাভার প্রকাশিত হয়েছে।
তুহিন হোসেন সম্প্রতি ভারতের নয়া দিল্লিতে রাশিয়া ও পোল্যান্ডের ছয় জন ফরেন মডেল নিয়ে ফ্যাশন ফটোগ্রাফি করে এসেছেন যা কিনা ইউরোপিয়ান ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্রোশিয়ার আকারে প্রকাশিত হবে। গত মে মাসে দৃক গ্যালারিতে তুহিন হোসেনের তোলা বিভিন্ন সময়ের নির্বাচিত ৭৫ জন সেলিব্রিটিদের ছবি নিয়ে একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী অপিকরিম। প্রদর্শনীতে অনেক সেলিব্রিটিসহ দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
তুহিন হোসেন জানালেন তার প্রথম গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির তারকা ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ২০০২ সাল আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। চাকরির পাশাপাশি ঐ সময়ে আমার ফটোস্টুডিও ‘তুহিন হোসেন ফটোগ্রাফি’ শুরু করি। সেলিব্রিটিদের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি আমি কমার্শিয়াল কাজ যেমন- বিজ্ঞাপনের প্রেস/বিলবোর্ড ফটোগ্রাফি শুরু করি। গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, কর্পোরেট ফটোগ্রাফিসহ সব ধরনের কাজ তখন থেকেই শুরু করি। যখন আমার ফটোগ্রাফি দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড হতো অথবা পত্রিকায় ছাপা হতো তখন অনেকেই প্রশংসা করতো। তাদের প্রশংসা শুনে মনে হয়েছিল আমার পক্ষে ভালো ফটোগ্রাফি করা সম্ভব। অনেক উৎসাহ পেতাম। এক সময় কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফিতে অনেক ব্যস্ত হয়ে গেলাম। ২০১৫ তে চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করলাম। বর্তমানে দেশের শীর্ষ বিজ্ঞাপন এজেন্সি, ফ্যাশনহাউস, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্পোরেট সেক্টরে ব্যস্ত সময় পার করছি। ১৯৯৮ হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় বিউটিকনটেষ্ট ‘লাক্স আনন্দধারা মিসফটোজেনিক’ এবং ২০০৭ ও ২০০৮ এ ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার এই দীর্ঘ জীবনে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স আয়োজিত ‘বেষ্ট গ্ল্যামার ফটোগ্রাফার’ এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বেষ্ট ফটোগ্রাফার এ্যাওয়ার্ড’ ও ইনডেক্স মিডিয়া আয়োজিত ‘বেষ্ট গ্ল্যামার ফটোগ্রাফার’ এ্যাওয়ার্ড সম্প্রতি পেয়েছি।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে খুবই দায়িত্বশীল, পরিশ্রমী এবং সময় সচেতন। সেলিব্রিটিরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তিনি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বি.পি.এস) থেকে বেসিক ফটোগ্রাফি এবং ভারতের দিল্লী ও মুম্বাই হতে অ্যাডভান্স ফটোগ্রাফি কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপে তিনি অংশ গ্রহন করেছেন। সামনে তাঁর স্বপ্ন ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে ফটোগ্রাফি করার।
আপনার মন্তব্য দিন